সালাউদ্দিন সুমন

আবু মোহাম্মদ সালা উদ্দিন, সালাউদ্দিন সুমন নামেই বেশি পরিচিত।  তিনি আপাদমস্তক একজন সাংবাদিক। সাংবাদিকতাই তাঁর ধ্যান-জ্ঞান। তবে সৃষ্টিশীলতার যাত্রাপথে হতে চেয়েছিলেন সাহিত্যিক। ফলে সাংবাদিকতায় পুরোদস্তুর ব্যস্ত হবার আগেই বের হয় তাঁর কাব্যগ্রন্থ ‘না প্রেম না দ্রোহ। সেটা ২০০৮ সালের কথা। তারপর দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় জুড়ে মত ও পথের দিশা হিসেবে সাংবাদিকতায়ই ডুবে আছেন।

তাই বলে সাহিত্যচর্চা কি থেমে থাকবে? একটু মনোযোগের সাথে খেয়াল করলে দেখা যায় তাঁর খবর লেখার ভাষায়: কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় তৈরি কন্টেন্টগুলোর বাচন ভঙ্গি সব জায়গাতেই সাহিত্য হাত ধরাধরি করে চলছে। খটমটে সাংবাদিকতার জগতে এমন সমসত্ত্ব মিশ্রণ বেশ বিরল। হ্যাঁ, আমরা সাংবাদিক সালাহউদ্দীন সুমনের কথা বলছি। ইতিহাস ও ঐতিহ্য বরাবরই তাঁর আগ্রহের জায়গা। তাই আমরা ভাবলাম

তাঁর হাত ধরে পথ চলতে চলতে কিংবা তাঁর চোখে দেখতে দেখতে আঁকাবাকা ইতিহাসে অবগাহন করা যায় কিনা। সেই বাসনা থেকেই উল্টোরথে জেঁকে বসা। “ভাগীরথী থেকে বুড়িগঙ্গা” কোনো ভ্রমণকাহিনী নয়। বরং ইতিহাসকে একজন সাংবাদিকের আবারও তলিয়ে দেখার অদম্য ইচ্ছার প্রতিফলন। সেই অদম্য ইচ্ছার টানেই তিনি ছুটে বেড়িয়েছেন ভাগীরথীর পাড় থেকে বুড়িগঙ্গা, মুর্শিদাবাদ থেকে ঢাকার আনাচে কানাচে।

ইতিহাসের মাইন ফিল্ড থেকে বের করে এনেছেন বাঙলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলার বর্তমান বংশধরেরা কে কোথায় আছেন, কেমন আছেন। আরও হদিস করেছেন মীর জাফরের বংশধরদের। এই চলার পথ মোটেই মসৃণ ছিলো না। ছাই চাপা ইতিহাসের এনকোয়ারির সফরনামার ঘটনাবলি নিয়েই এই বইয়ের আয়োজন। আমরা কেবল তাঁর সহযাত্রী হয়েছি।